1. md.roman220@gmail.com : admin : admin
  2. admin@deshernews.com : desherne :
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

গভীর রাতে ছাত্রদের হল থেকে বের করে দিল ছাত্রলীগ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৩৮৩ Time View

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হল থেকে সাত বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাককর্মীরা।

মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের তিনটি কক্ষ থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়। পরে ওই কক্ষগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় দাস ঝুটনের অনুসারীরা।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে। কিন্তু এ নিয়ে কোনো সমাধান পায়নি শিক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক রুম থেকে বের করে দেয়। এ নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলেও কোনো সমাধান হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী হলের শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সুজন, মাহমুদুল রাফি, মো. ফুয়াদ খান, মো. শরিফ হোসেন, মেহেদী হাসান হৃদয় এবং রওনক হাসান রানাকে বের করে ওই কক্ষগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ নেতা ঝুটনের অনুসারীরা।

ভুক্তভোগী আবাসিক হলের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের ঝুটন গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমাদের রুম থেকে বের করে রুমে তালা দিয়ে দেয়। শীতের রাতে আমরা সারারাত বাইরে ঘোরাফেরা করি। আর জিনিসপত্র সবকিছু রাস্তায় ফেলে দেয় তারা। নিরুপায় হয়ে আমরা সকালে উপাচার্যের বাংলোর সামনে প্রায় ঘণ্টা খানেক অবস্থান করি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।

আরেক শিক্ষার্থী মো. ফুয়াদ খান বলেন, ছাত্রলীগের মৃন্ময় দাস ঝুটন গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমাদের রুম থেকে বের করে দেয়। এ সময় আমরা রুম থেকে বের হতে না চাইলে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে আমাদের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমরা হল ছাড়তে বাধ্য হই।

শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় দাস ঝুটন বলেন, কাদেরকে বের করে দিয়েছে কিংবা কারা দিয়েছে এটা আমি জানি না। আমার ধারণা এরা হয়তো অছাত্র কিংবা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের কোনো তথ্য আসার কারণে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত গ্রুপিং কোন্দলের কারণে তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তারা এখনও হল প্রভোস্ট কিংবা প্রক্টরকে বিষয়টি জানায়নি। যদিও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে; যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© ২০২২ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | deshernews.com
Theme Customized BY LatestNews