স্বাধীনতা দিবসের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছর আগে দুই লাখের উপর মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পেতেন। আমি মন্ত্রী হয়ে প্রায় ২০ হাজারের অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। বর্তমানে ১ লাখ ৮২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। এখনও সেই কাজ চলমান আছে।’
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা জনান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সমস্ত তালিকার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি নেই, যেমন ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তি বার্তা। মুজিবনগর সরকারের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, যারা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, এ ছাড়াও নার্স, শিল্পী-কলাকুশলী যাদের ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আমরা মার্চ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার জন্য চেষ্টা করছি।’
তিনি জানান, যাদের ব্যাপারে আপত্তি আছে তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলমান থাকবে। যাচাই-বাছাইয়ে যারা টিকবে তাদের তালিকা পরে প্রকাশ করব। কিছু ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার জন্য যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারা নিজেদের পরিচয়পত্র বুকে নিয়ে ঘুরবে, সেটি পারছে না। এটা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। সামনে স্বাধীনতা দিবসের আগেই তালিকা প্রকাশের চেষ্টা থাকবে।’
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপরেই গত নিবাচনে জাতি আমাদের ম্যান্ডেড দিয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে আগামী অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধদের ভাতা যাতে আরও সম্মানজনক হারে বাড়ানো যায় সেই চিন্তা আমাদের মন্ত্রণালয়ের রয়েছে।’
দেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার এবং পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা স্তম্ভ’নির্মাণের জন্য জায়গা নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।